,

Kismis/কিসমিস/Raisins (Seed Less)

৳ 95.00৳ 460.00

Shafaah এর প্রত্যেকটি কিসমিস ভাছাই করা,

সম্পুর্ণ Seed less বা বিচি ছাড়া কিসমিস।

 

 

শুকোনো আঙুর আজ সারা বিশ্বে ছোট থেকে বড় সবার কাছে সমানভাবে সমাদৃত তার মিষ্টতার জন্য। রান্না ছাড়াও আরও নানা ব্যবহার আছে কিসমিসের, যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সুমিষ্ট স্বাদ ছাড়াও কিসমিস আরও নানা গুণে সমৃদ্ধ।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে : কিসমিস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। কারণ কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এই কারণেই জলের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে কিসমিস ফুলে ওঠে। এই ফাইবারই খাবার হজম করিয়ে তাকে বর্জ্যের আকারে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যে নয়, ডাইরিয়া বা আমাশয় রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও সেরে উঠতে সাহায্য করে কিসমিস।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে : আপনি কি খুবই রোগা? যেনতেন প্রকারেণ ওজন বাড়াতে চাইছেন? তাহলে নিয়ম করে কিসমিস খান। কারণ কিসমিসের মধ্যে ফ্রক্টোজ এবং শর্করা রয়েছে। এককথায় ক্যালরিতে ঠাসা। তাই তো এই খাবারটি খেলোয়াড় এবং বডি বিল্ডারদের মেনুতে প্রতিদিন রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ এঁদের প্রচুর পরিমাণে এনার্জির দরকার হয়, যা পূরণ করতে কিসমিস সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, কিসমিসের মধ্যে নেই খারাপ কোলেস্টেরল। উল্টে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মিনারেল।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় : কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন্স থাকে, যা এক ধরণের পলিফেনলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ এবং রক্তে উপস্থিত ক্ষতিসাধনকারী ফ্রি-র‍্যাডিকালদের নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। এই ধরণের ফ্রি-র‍্যাডিকাল ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়ম করে কিসমিস রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।

যৌন অক্ষমতা দূর করে : প্রাচীন কাল থেকেই কামোত্তেজক হিসেবে কিসমিস সুপরিচিত। এতে আরজিনিন নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা লিঙ্গ শিথিলতা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে দারুণ কাজ করে। এছাড়াও শুক্রাণুর সচলতা বাড়িয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় আরজিনিন। সঙ্গে বাড়ায় যৌন ক্ষমতাও। সেই আদ্যিকাল থেকে নববিবাহিত দম্পতিকে কিসমিস ও একচিমটে হলুদ মিশিয়ে দুধ খেতে দেওয়া একটা প্রথা চলে আসছে। এবার জানলেন তো এর পিছনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটি কী।

হাড় শক্ত করে : কিসমিসে থাকে ক্যালসিয়াম ও বোরন। সবাই জানেন ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে প্রধান উপাদান। আর বোরন ক্যালসিয়ামের আত্তীকরণ ও হাড় গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। একটা বয়সের পর মেয়েদের ঋতু বন্ধ হওয়ার পরে যাতে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে কিসমিস। তাছাড়া এতে উপস্থিত পটাশিয়াম হাড় শক্ত করতে ও হাড়ের বৃদ্ধিতেও কাজ আসে।

দাঁতের জন্য উপকারি : কিসমিসে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় আটকায়, দাঁতে ফুটো হওয়া ও দাঁত ভেঙে যাওয়া বন্ধ করে, সেই সঙ্গে দাঁতকে দেয় সব রকমের সুরক্ষা। মেরে ফেলে স্ত্রেপ্টোকক্কাস মিউটানস ও পরফাইরমোনাস জিঞ্জিভালিস নামের দুটি দাঁত ও মাড়ির জীবাণুকে। আর এর ক্যালসিয়াম দাঁতের এনামেলের ক্ষয় রোধ করে দাঁতকে করে তোলে কঠিন। শুনতে আশ্চর্য লাগতে পারে। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে কিসমিস খাওয়ার সময় দাঁতে লেগে গেলে তা আসলে দাঁতের পক্ষে ভালো। এতে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড যতক্ষন দাঁতের সংস্পর্শে থাকে, ততক্ষণ প্রত্যক্ষ ভাবে রোধ করে জীবাণুর আক্রমণ। আর এই কাজে সাহায্য করে সঙ্গে উপস্থিত বোরনও।

হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য করে : বহু বছর ধরেই এটা মানা হয় যে, কিসমিস রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এই বিষয়ক আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে, কিসমিস খেলে হাইপারটেনশন কমে যায়। যদিও কিভাবে এমনটা হয়, তা এখনও পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়নি বা এই বিষয়ে কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে আশা যায়নি। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি হাইপারটেনশন সহ হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে পারে। এছাড়াও কিসমিসের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার ধমনীর যত্নে দারুণ উপকারি ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : খাবার পর আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। তাই প্রাকৃতিক নিয়মে এই সময় ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে শুরু করে। কিন্তু ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে দেহে সুগারের মাত্রা বাড়তেই শুরু করে। আর এমনটা হলেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সুগারের এই বাড়বাড়ন্ত রোধে কিসমিস খুবই উপকারি। তাই তো সুগার রোগীদের কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসলে লেপ্টিন এবং ঘ্রেলিন নামের দুটি হরমোন আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা জাগায়। এদের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে কিসমিস পরোক্ষে সুগারের মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। একইসঙ্গে এই পদ্ধতিতে ওজনও নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।

রক্তাল্পতা সারাতে সাহায্য করে : কিসমিসে রয়েছে আয়রন, যা রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন বি থাকায়, এটি রক্ত উৎপাদনেও সাহায্য করে। একইসঙ্গে এতে কপারের উপস্থিতি নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এক কথায় রক্তের উৎপাদন বাড়াতে কিসমিস সবদিক থেকে সাহায্য করে। চোখের যত্নে কিসমিস কিসমিস নানা উদ্ভিজ্জ পলিফেনলে সমৃদ্ধ। এরা আসলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রেটিনার ক্ষয়, বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহ্রাস, ছানি ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। প্রসঙ্গত, কিসমিসে উপস্থিত নানা জাতের ভিটামিন যেমন, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ক্যারোটিনয়েড চোখের পক্ষে খুব ভাল।

রক্তের অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে : রক্তের অম্লতা একটি মারাত্মক রোগ, যা থেকে আরও নানা সাঙ্ঘাতিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, ত্বকের নানা রোগ, ফোস্কা, আভ্যন্তরীণ নানা অঙ্গের সমস্যা, আরথ্রাইটিস, বাত, মূত্রপাথুরি, চুল পড়া, হৃদ রোগ, টিউমার এমনকি ক্যান্সারও। কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তের অম্লতা কমিয়ে এসব জটিল রোগের আশঙ্কা কমায়।

 

কিসমিসের অন্যান্য গুণ : কিসমিসে উপস্থিত ফাইবার আমাদের শরীর থেকে পিত্ত রেচনে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নষ্ট করে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া, পরিপাক তন্ত্রে তৈরি হওয়া নানা বিষাক্ত পদার্থও দূর করতে সাহায্য করে। এমনটা হওয়ার কারণে হজমের সুবিধা হয় ও বিভিন্ন জীবাণুঘটিত রোগের আশঙ্কা কমে।

সতর্কবার্তা : বেশি মাত্রায় কিসমিস খেলে মোটা হয়ে যেতে পারেন কিন্তু। কারণ এতে থাকে প্রচুর ক্যালরি। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় সুগার, হৃদ রোগ, এমনকি যকৃতের ক্যান্সারের আশঙ্কাও। তাই বেশি মাত্রায় কিসমিস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

 

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম:

১৫০ গ্রাম কিসমিস ভালো ধুয়ে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরেরদিন সকালে কিসমিস ছেকে নিয়ে সেই পানি হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। এর পরে আধ ঘন্টা আর অন্য কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন এই পানি খেলে এক মাসের মধ্যেই তফাৎটা অনুভব করবেন।

অথবা

প্রতিদিন ৬/৭ টা বা যতটা পারেন নিয়মিত খাবেন।

Raisins, seedless
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান
শক্তি ১,২৫২ কিজু (২৯৯ kcal)
৭৯.১৮ g
চিনি ৫৯.১৯ g
খাদ্য আঁশ ৩.৭ g
০.৪৬ g
৩.০৭ g
ভিটামিন পরিমাণদৈপ%
থায়ামিন (বি১)
৯%

০.১০৬ মিগ্রা

রিবোফ্লাভিন (বি২)
১০%

০.১২৫ মিগ্রা

নায়াসিন (বি৩)
৫%

০.৭৬৬ মিগ্রা

প্যানটোথেনিক
অ্যাসিড (বি৫)
২%

০.০৯৫ মিগ্রা

ভিটামিন বি৬
১৩%

০.১৭৪ মিগ্রা

ফোলেট (বি৯)
১%

৫ μg

কোলিন
২%

১১.১ মিগ্রা

ভিটামিন সি
৩%

২.৩ মিগ্রা

ভিটামিন ই
১%

০.১২ মিগ্রা

ভিটামিন কে
৩%

৩.৫ μg

খনিজ পরিমাণদৈপ%
ক্যালসিয়াম
৫%

৫০ মিগ্রা

লৌহ
১৪%

১.৮৮ মিগ্রা

ম্যাগনেসিয়াম
৯%

৩২ মিগ্রা

ম্যাঙ্গানিজ
১৪%

০.২৯৯ মিগ্রা

ফসফরাস
১৪%

১০১ মিগ্রা

পটাশিয়াম
১৬%

৭৪৯ মিগ্রা

সোডিয়াম
১%

১১ মিগ্রা

জিংক
২%

০.২২ মিগ্রা

অন্যান্য উপাদান পরিমাণ
Fluoride 233.9 µg

 

তথ্য সূত্র: wikipedia.

 

Weight N/A
পরিমাণ

100 gram, 250 gram, 500 gram

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “Kismis/কিসমিস/Raisins (Seed Less)”
Shopping Cart
Kismis/কিসমিস/Raisins (Seed Less)
৳ 95.00৳ 460.00Select options
Scroll to Top