পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাজুবাদামে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপারের মতো কিছু উপকারী উপাদান। এ ছাড়াও ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬-এর মতো খাদ্য উপাদানও রয়েছে কাজুবাদামে। তাই শরীরের অনেক সমস্যাসহ যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন, তাদের নিয়মিত খাবারে এ কাজুবাদাম থাকাটা জরুরি।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধেঃ
কাজু বাদামে যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার। কাজু বাদম শরীরের রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে প্রম্যান্থোসায়ানিডিন উপাদানটি থাকায় ক্যান্সার প্রতিরধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়ঃ
জিঙ্ক এমন একটি উপাদান যা সকল প্রকার রোগের প্রতিশেধক। কাজু বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় যে কোন ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের সংক্রমনের ইনফেকশন থেকে শরিরকে নিরাপদ রাখতে পারে প্রাকৃতিক এই উপাদানটি।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ
এ বাদামে রয়েছে ওলিসিক নামক এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহের বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। শরীর ফিট রাখতে প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ হলেও কাজু বাদাম খাওয়া উত্তম। এটি শরীরের এইচ,ডি,এল বাড়িয়ে তোলে এবং এল,ডি,এল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ
রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বহুল প্রচলিত একটি সমস্যা। এ ধরণের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতিদিন এক মুঠো কাজু বাদামেই যথেষ্ঠ। এ বাদামে ফ্যাটস, ভিটামিন, মিনারেলস উপাদান উপস্থিত থাকায় শরীরে গ্লুকোজের ভারসাম্য রক্ষা করে।
মস্তিষ্কের কার্যশক্তি বৃদ্ধিঃ
কাজ করার জন্য প্রয়োজন শক্তি আর এ শক্তি আসে খাদ্য থেকে। ঠিক তেমনি মস্তিষ্কের জন্য একটি অন্যতম সেরা খাদ্য হল কাজু বাদাম। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ কাজু বাদাম আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্রম সঠিক রাখতে ও স্মরণশক্তি বাড়াতে খুব সাহায্য করে এবং উপস্থিত জিঙ্ক উপাদান ও মিনারেল মস্তিষ্কের সেল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।
শক্তিশালী হাড় গঠনে সহায়তাঃ
কাজু বাদামের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উপাদান শরীরের হাড় সুষ্ঠভাবে গঠন করতে নিশ্চিত করে। মজবুত ও শক্তিশালী হাড় গঠন করতে কাজু বাদামের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয়না। তাছাড়া বাদামের উষ্ণ তেল মালিশে বাচ্চার দেহের হাড় মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেঃ
চুলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে ও চুলের গোড়াকে শক্ত করতে কপার বিশেষ ভুমিকা পালন করে। এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে কাজু বাদামে আছে। সবুজ কাজু বাদামের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ চুলের গোঁড়ায় পুষ্টি যোগায় যার ফলে চুল পড়া কমে গিয়ে চুলের গোরা হয় সুস্থ ও মজবুত। এ বাদামে থাকা কপার শরীরের অন্দরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
Reviews
There are no reviews yet.